4. তথ্য ও সহায়িকা

এখন সহায়িকা পড়ার বিভিন্ন পদ্ধতির বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। “text” শব্দটির সাহায্য আপনার পছন্দের কোন একটি বিষয়কে বোঝানো হচ্ছে। সাধারণত বিভিন্ন কমান্ড ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়িকা দেয়া থাকে।

apropos text

whatis ডাটাবেসে text এর ওপর কোন তথ্য থাকলে তা দেখায়।

man text

text সংক্রান্ত ম্যানুয়াল পেজ থাকলে তা দেখায়। ম্যানুয়াল পেজ হল ইউনিক্স সিস্টেমগুলোতে ডকুমেন্টেশনের সবচেয়ে বড় উত্‍স। উদাহরণস্বরূপ man ls কমান্ডটি আপনাকে ls কমান্ড ব্যবহারের সমস্ত পদ্ধতি জানাবে। ম্যানুয়াল পেজ দেখার সময় Enter চাপলে একলাইন সামনে, Ctrl-B চাপলে এক স্ক্রীন পেছনে, Ctrl -F চাপলে এক স্ক্রীন সামনে এবং q বা Ctrl -C চাপলে ম্যানপেজ থেকে বের হয়ে আসা যায়।

which text

আপনার ব্যবহৃত path এ text কমান্ডটি পাওয়া গেলে path টি জানানো হয়।

locate text

যে সকল path এ text শব্দটি পাওয়া যাবে, তা আপনাকে জানানো হবে।

whatis text

সংক্ষিপ্তাকারে text কমান্ডটির কাজ সম্পর্কে জানায়। whatis * লিখলে বর্তমান ডিরেক্টরির সকল বাইনারি ফাইলের কাজ সম্পর্কে জানাতে চেষ্টা করে ।

whereis text

text নামক ফাইলটিকে খুজে বের করার চেষ্টা করে এবং খুজে পেলে text ফাইলের path জানায়।

কিছু বহুল ব্যবহৃত ও গুরুত্বপুর্ণ কমান্ডের ওপর whatisব্ঃব্যবহার করে দেখতে পারেন, যেমন- cat, more, grep, mv, find, tar, chmod, date এবং scriptmore কমান্ডটি এক পৃষ্ঠা করে লেখা পড়তে দেয়। ডস-এও কমান্ডটি একই কাজ করে; উদাহরণস্বরূপ: ls -l | more কিংবা more filename* চিহ্নটি wildcard হিসেবে কাজ করে, যেমন- ls w* লিখলে নামের প্রথম অক্ষর w, এ ধরনের সব ফাইলের নাম দেখা যায়।

হয়তো কিছু কমান্ড আপনার সিস্টেমে ভালভাবে কাজ করছে না। locate এবং whatis উভয়ই একটি ডাটাবেসের ওপর নির্ভর করে যা প্রতি সপ্তাহে নতুন করে তৈরী করা হয়। যদি আপনার কম্পিউটারটি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বন্ধ থাকে কিংবা ঐ দিন FreeBSD চালানো না হয়, তবে দৈনিক, সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক কাজগুলো যেকোন সময়ই করতে পারেন। পরবর্তি কমান্ডগুলো আপনাকে এই ব্যবস্থা করে দেবে; root হিসেবে কমান্ডগুলো চালান এবং একটি কমান্ডের কাজ শেষ হলেই কেবল পরের কমান্ডটি প্রয়োগ করুন।

# periodic daily
সংশ্লিষ্ট আউটপুট
# periodic weekly
সংশ্লিষ্ট আউটপুট
# periodic monthly
সংশ্লিষ্ট আউটপুট

এই কমান্ডগুলো চলার সময় বসে থেকে অপেক্ষা করতে না চাইলে Alt-F2 চেপে আরেকটি ভার্চুয়াল কনসোল খুলে তাতে লগ ইন করুন। মনে রাখবেন, ইউনিক্স একটি মাল্টিটাস্কিং, মাল্টিইউজার সিস্টেম, তাই একত্রে অসংখ্য ব্যবহারকারী ও প্রোগ্রাম চলানো কোন সমস্যা নয়। নতুন কনসোল চালু করলেও অবশ্য কমান্ডগুলো আপনার বর্তমান কনসোলে কিছু লেখা দেখাবে; clear কমান্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই স্ক্রীন পরিস্কার করতে পারেন। কমান্ডগুলোর কাজ শেষ হয়ে গেলে /var/mail/root এবং /var/log/messages ফাইলদুটোতে একবার চোখ বুলিয়ে দেখুন।

সিস্টেম অ্যাডমিনস্ট্রেশনের অংশ হিসেবে প্রায়ই এধরনের কমান্ড চালাবার প্রয়োজন হয়। যেহেতু আপনার ইউনিক্স সিস্টেমটির আপনিই একমাত্র ব্যবহারকারী, তাই সিস্টেম অ্যাডমিনস্ট্রেরের ভূমিকাও আপনাকেই পালন করতে হবে। সাধারণত যে কাজগুলো root হিসেবে না করলেই নয়, সেগুলোই সিস্টেম অ্যাডমিনস্ট্রেশনের অংশ। বাজারে ইউনিক্স সিস্টেম অ্যাডমিনস্ট্রেশনের ওপর অনেক মোটা মোটা বই পাওয়া গেলেও সিস্টেম অ্যাডমিনস্ট্রেশনের ভাল বর্ণনা এসব বইয়ের অধিকাংশতেই থাকে না। বরং এদের একটা বড় অংশ ব্যায় হয় উইন্ডো ম্যানেজারের ব্যবহার পদ্ধতি সংক্রান্ত বর্ণনা দিয়েই। ইউনিক্স সিস্টেম অ্যাডমিনস্ট্রেশনের ওপর দুটি অসাধারণ বই হল এডি নেমেথে র লেখা Unix System Administration Handbook (Prentice-Hall, 1995, ISBN 0-13-15051-7) (যার দ্বিতীয় সংস্করণের প্রচ্ছদ লাল রঙের) এবং এলিন ফ্রিজে র লেখা Essential System Administration (O'Reilly   Associates, 1993, ISBN 0-937175-80-3)। আমি নিজে অবশ্য পড়ি নেমেথের বই।